Sunday, July 1, 2007

বাঙালীরা বাংলাকে শেষ করে এনেছে Bengalis killing Bangla

To read and write in Bengali, please download FREE Fonts and FREE Keaboard Software by clicking the links given under "You must visit" and Set your Browser Encoding to Unicode (UTF-8 ). Thank you


বাঙালীরা তাদের মা 'বাংলা ভাষা'কে প্রায় মেরে শেষ করে এনেছে !
Bengalis have almost finished killing their mother, the Bengali language !


এ বিষয় আপনার মন্তব্য COMMENT করে এই পাতায় লিখুন !

Give your Comments on this Topic!



বাংলা সংখ্যার জিজিটাল ডিসপ্লে নিয়ে মিলন সেনগুপ্তর একটি লেখা পড়ুন এখানে ক্লিক করে

Read about Digital dispaly of Bengali Numericals by Milan Sengupta in Bangla by clicking here.



বাংলা ভাষার প্রসার ও বাঁচা-মরা নিয়ে মিলন সেনগুপ্তর লেখা "সুনীল গাঙ্গুলী ভুল করছেন" পড়ুন এখানে ক্লিক করে
Read an article about survival of Bengali Language by Milan Sengupta by clicking here.


To read and write in Bengali, please download FREE Fonts and FREE Keaboard Software by clicking the links given under "You must visit" and Set your Browser Encoding to Unicode (UTF-8 ). Thank you

4 comments:

  1. Poet Sunil Ganguly had started a campeign to save Bengali by making all shop hoardings to be written in Bengali. While there is no doubt that his intentions were great, I had some reservations about his idea and had written an article giving some suggestions to save Bangla in West Bengal, if we truely wanted to save it. Please click here to read the original article.

    ReplyDelete
  2. মানুষ একা বাঁচতে পারে না ,তাই তাকে সঙ্গবদ্ধভাবে বাঁচতে হয় যার জন্য নিজেদের মধ্যে ভাবের আদানপ্রদানের প্রয়োজনেই ভাষার সৃষ্টি ।
    আগে এক গোষ্ঠীভুক্ত বা এক সমাজের লোকেরা একটা ভৌগলিক সীমারেখার ভিতরে বাস করতো । আর তাই এক এক স্থানের অধিবাসীর এক এক ভাষা হতো । তখন এক স্থানের অধিবাসীর আর এক স্থানের অধিবাসীর আদান প্রদানের খুব একটা দরকার হতো না । এখন কিন্তু দরকার হয় । মানুষ নিজের সুবিধার জন্যই কোন জিনিষ বা প্রক্রিয়া আবিষ্কার করে । যেমন যেমন প্রয়োজন পরিবর্ত্তিত হয় আগের আবিষ্কৃত জিনিষ বা প্রক্রিয়া পরিত্যাগ করে নতুন আবিষ্কৃত জিনিষ বা প্রক্রিয়ার খোঁজ করে । কোন জিনিষ বা প্রক্রিয়া সর্বকালীন নয় । যুগের পরিবর্তনের সাথে তা গতিশীল । মানুষ ও তার জীবন যাত্রা সততঃ পরিবর্তনশীল তাই স্বাভাবিকভাবেই তার ভাষারও পরিবর্তন হওয়াটাই বাঞ্চনীয় । আবার যারা ভাষা ব্যবহার করছে তাদের সুবিধার জন্য তারাই ঠিক করে থাকে তারা কোন ভাষা ব্যবহার করবে । জোর করে সুবিধার উলটো দিকে ভাষা ব্যবহার দীর্ঘদিন ধরে করান যায় না । এখানে আবেগ বা অনুভূতির স্থান কম । ব্যবহারিক সুবিধাটাই বিচার্য ।
    সভ্যতার ক্রম ও দ্রুত বিবর্তনে যে ভাষা অন্যভাষার তুলনায় (এমনকি যে ভাষায় সে জন্ম থেকে কথা বলে অভ্যস্ত তার থেকেও )অনেক সহজে অনেক বেশী লোকের মধ্যে অনেক নির্ভুলভাবে অনেকরকমের ভাবের আদানপ্রদান করতে সক্ষম হবে সে ভাষাতেই কথাবার্তা বেশীহবে ।

    ReplyDelete
  3. আগে বেশ কয়েকবার অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ার জন্য বা বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার জন্য ,অসমাপ্ত লেখা যেহেতু রক্ষা করা যায় না তাই, আমার বিভিন্ন অসমাপ্ত মতামত পুঁছে গিয়েছে ও আবার আমাকে পুরোটা নতুন করে লিখতে হয়েছে । এবারেও আমাকে লেখা অসমাপ্ত রেখেই অন্য কাজে যেতে হয়েছিল । কিন্তু এবার যতটা লিখেছিলাম তা যাতে পুঁছে না যায় তাই ওই অসমাপ্ত লেখাই প্রকাশ করে গিয়েছিলাম। এখন বাঁকীটা লিখছি । এ কারণে এই লেখাকে ৩নং মন্তব্য না ভেবে ২ ং মন্তব্যের শেষাংশ ধরে নেবেন।
    বাংলা ভাষাভাসীরা এখনকার অবস্থায় দুটো দেশে বিভক্ত । এর মধ্যের একটা দেশে প্রায় সবাই বাংলায় কথা বলে ও সেখানে বাংলা পূর্ণমর্যাদায় বিদ্যমান । তাদের নিশ্চয় বেশ কিছু জায়গায় বিশেষ করে উচ্চশিক্ষায় অসুবিধা হয় ।কিন্তু সারা দেশের সবাই বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য সমস্ত কাজকর্ম্ম বাংলাতেই চালান যায় । যে যে জায়গায় অসুবিধা হয় সেই সেই জায়গা যারা ব্যবহার করতে চায় যেমন উচ্চশিক্ষা তাদের প্রয়োজন মত অন্য ভাষা জেনে নিতে হয় । এখানকার অধিবাসীরাও বাঙালী ও এরা বাংলাকে শেষ তো করছেই না উলটে তাকে আরও মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা করেছে ।
    আর যে জায়গার লোকেরা বাংলায় কথা বলে মানে আমরা ভারতবর্ষ নামক দেশের একটি ক্ষুদ্র প্রদেশের বাসিন্দা । আমাদের সমস্ত কিছুর জন্যই আমরা কেন্দ্রের ও অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরশীল । উপরন্তু আমাদের নৈতিক উদারতা আমাদের রাজ্যে অন্য রাজ্যের যারা বাস করে তাদের বাংলা শেখানতে বাধ্য করে না । আমাদের সরকার ,তখন ঠিক এখন ভুল নীতিতে , জোর করে বুনিয়াদী ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ইংরাজী তুলে দেয় কিন্তু আইসিএসসি বা সিবিএসই স্কুলের রমরমা বাজার তৈরী করে দেয় যেখানে বাংলা কোন গুরুত্ত্বই পায় না কিন্তু হিন্দী ও ইংরাজী প্রয়োজনাধিক স্বীকৃতি পায় । রাজ্যের ছেলেরা খুব শীঘ্রই বুঝতে পারে এখানে কাজ পাওয়া দুরূহ কিন্তু অন্য রাজ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলেও ভাষার কারণে তারা অনেক পেছিয়ে । এমনকি এ রাজ্যেও বাংলা না জানা থাকলে কাজ পেতে কোন অসুবিধা সাধারণত; হয় না কিন্তু ইংরাজী ও হিন্দী জানাটা একটা বাড়তি বড় গুণ । তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই অনেক বাংলাভাসী সন্তানদের বাংলা শেখাতে পারেন না ও সন্তানরাও শেখার কোন বিশেষ কারণ বার করতে পারেন না । তাই এটা ঠিক পশ্চিমবাংলায় বাংলা হয়ত মৃত্যুমুখী তবে তার কারণ কোনমতেই পশ্চিমবাংলায় বসবাসকারী বাঙ্গালীরা নয় । বাংলাভাষাই এখানে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না ,ক্রমশঃ পিছিয়ে পড়ছে । আমরা মানে এখন যারা চল্লিশোর্দ্ধ ছোট থেকে বাংলা বলি বাংলায় ভাবি , অন্য ভাষায় বলতে বা লিখতে গেলে বাংলায় ভেবে ওই ভাষায় অনুবাদ করি কিন্তু আমাদের পরের শিক্ষিত প্রজন্ম অন্য ভাষায় বলতে বা লিখতে গেলে আর বাংলায় ভেবে অনুবাদ করে না ,সোজাসুজি ইংরাজী বা হিন্দীতে বলে বা লেখে ।
    এই পর্যন্ত লিখে আবার একটা ছোট্ট ব্রেক । পরে আবার বাঁকী লিখব ।

    ReplyDelete
  4. ব্রেকের পরে আবার ফিরে এলাম ২নং মন্তব্য শেষ করতে যা ৩নং ছাড়িয়ে এবার ৪নং মন্তব্যে পড়ল ।
    শেষ অনুচ্ছেদের শেষাংশ ...
    আমরা যারা তিনটে ভাষা জানি তারাও কিন্তু ত্রিভাষী নই কেননা আমরা সবসময়ে বাংলায় চিন্তা করি । আমাদের শিক্ষিত সন্তানেরা কিন্তু আমাদের থেকে ভাল ত্রিভাষী কেননা ওরা যে ভাষাতে প্রকাশ করা প্রয়োজন সে ভাষাতেই চিন্তা করতে পারে । ওরা আমাদেরই মত বাংলা বলতে পারে কিন্তু আমাদের মত বাংলা লিখতে ও পড়তে পারে না , চেষ্টাও করে না ।
    আমাদের আগে হতে হবে ভারতবাসী পরে বাঙালী । তাই নিজের প্রদেশের লোকের সাথে ভাব বিনিময়ের জন্য বাংলার গুরুত্ত্ব থাকলেও কেন্দ্রের ও অন্য প্রদেশের লোকের সাথে ভাববিনিময় দেশপ্রেমের খাতিরে অবশ্য প্রয়োজনীয় । আর তা যখন বাংলায় হওয়া সম্ভব নয় তখন অন্য ভাষা শিখতেই হয় আর বাংলার গুরুত্ত্ব না চাইলেও কমে যায় । আমরা বাঙ্গালীরা বাঙ্গালীদের সাথে কথা বলি বাংলায়, উত্তরভারতীয়দের সাথে হিন্দীতে আর দঃক্ষিণভারতীয় ও অন্য দেশের লোকেদের সাথে ইংরাজ়িতে কথা বলতে বাধ্য হই । তাই বাংলা ভাষা কি ভাবে বাঁচবে ।
    যদি বাংলা ভাষাকে বাঁচাতে হয় আবার দেশপ্রেমের ঘাটতি না চাওয়া হয় তবে হয় বাংলাদেশের মতো একটা পুরো দেশের সব লোককে বাংলা ভাষাভাষী হতে হয় বা অন্ততঃ দেশের একটা মুখ্য অঞ্চল বাংলা ভাষাভাষী হতে হয় যাতে বাংলার সারা দেশে যথেষ্ট প্রাধাণ্য থাকে । সেখানে আমরা একটা ক্ষুদ্র প্রদেশ ও বাংলা ভাষার দেশীয় দৃষ্টিভঙ্গীতে কোন গুরুত্ত্ব নেই । বাংলাকে বাঁচাতে গেলে বা এরকমভাবে অন্য প্রাদেশিক ভাষাকে যদি সেই প্রদেশ বাঁচাতে চায় আগে দরকার একটা রাষ্ট্রীয় সর্বজনগ্রাহ্য ভাষা । তাহলে সারা দেশের লোক ঠিক দুটো ভাষা শিখেই সারা দেশের কাজ চালাতে পারবে ও সেই অনুযায়ী চলতে পারবে ।
    আমাদের সত্যি মাদেরও প্রত্যেক প্রজন্মে পরিবর্তন হয়েছে হচ্ছে ও হবে । ভাষার তো হতেই হবে । পরিবর্তন মানে মারা নয় । necessity is the mother of invention. প্রয়োজনের খাতিরে একটা ভাষার উদ্ভব হয় আর প্রয়োজনের খাতিরেই তার পরিবর্তন হয় । একটা ভাষাভাষীর কাছে ভাষাটা তার প্রয়োজনের জিনিষ । কিছুতেই সে প্রয়োজনের জিনিষকে শেষ করতে পারে না । আবার প্রয়োজনে না লাগলে আঁকড়েও থাকে না ।
    সারাংশ ... বাংলাদেশ প্রমাণ করে দিয়েছে বাংলার শেষ হয়নি , বাঙ্গালীরা শেষ ত করেনি ,প্রাধাণ্য বাড়িয়েছে ।
    ভারতবর্ষের একটি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে যে বাঙালিরা বাস করে তাদের কাছে বাংলার গুরুত্ত্ব কমেছে ও আরো কমে যাচ্ছে । হয়তো এভাবে চললে কালেকালে শেষ হয়ে যাবে । কিন্তু সারা দেশের অবস্থা ও সারা দেশের ও পশ্চিমবঙ্গের লোকেদের ভাব প্রকাশের প্রয়োজন এর জন্য দায়ী , বাঙ্গালিরা মোটেই দায়ী নয় । শত চেষ্টা করেও এই অবস্থায় বাঙ্গালীরা বাঙ্গালাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবে না আর তা করবেই বা কেন ?

    ReplyDelete